ক্যান্সার কি?
ক্যান্সার হলো এমন কি রোগ যা অনিয়ন্ত্রিত কোষ বিভাজনের ফল। যদিও ক্যান্সার এর অনেক ধরনের ট্রিটমেন্ট বর্তমানে উপলব্ধ, তবুও এই রোগে মৃত্যুর হার অনেকটাই বেশি।
স্মোকিং এবং ক্যান্সার
স্মোকিং ক্যান্সারের অন্যতম একটি প্রধান কারণ যা অনেকদিন আগেই রিসার্চ দ্বারা প্রমাণিত। এমনকি এটাও দেখা গেছে যে ১০ জনের মধ্যে যে ৯ জনের লাং ক্যান্সার থেকে মৃত্যু হয়েছে, তারা সকলেই ধূমপান করতেন। শুধু মাত্র তাই নয়, অন্য কারোর ধূমপান করার সময় আপনি তার কাছাকাছি থাকলে, প্যাসিভ স্মোকিং এর মাধ্যমে আপনার শরীরের ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। স্মোকিং দুই ভাবে শরীরে ক্যান্সারের মাত্রা বৃদ্ধি করে,
১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার হ্রাস
প্রথমত, স্মোকিং এর ফলে মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক কমজোরী হয়ে যায়। মানব দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ক্যান্সার সেলকে ধ্বংস করতে সক্ষম। কিন্তু যখন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়, এটি আর ক্যান্সার সেলকে ধ্বংস করতে পারে না, ফলে ক্যান্সার শরীরে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়তে থাকে।
২. ডিএনএ গঠনের পরিবর্তন
কিছু রিসার্চ থেকে দেখা গেছে টোবাকোর মধ্যে এমন কিছু কেমিক্যাল বর্তমান রয়েছে যা মানব দেহের ডিএনএ র গঠন পরিবর্তনে সক্ষম। ডিএনএ হলো শরীরের “ইনস্ট্রাকশন ম্যানুয়াল” যা প্রতিটি কোষকে নির্দেশ দেয়। এমন কি কোষ বিভাজন কতটা হবে, কিভাবে হবে সব কিছুই নিয়ন্ত্রিত হয় ডিএনএ -র দ্বারা। তাই ডিএনএ এর পরিবর্তনের ফলে শরীরে অনিয়ন্ত্রতভাবে কোষ বিভাজন হতে থাকে এবং ক্যান্সারের সৃষ্টি করে।
অন্যান্য ক্যান্সার
এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভালো স্মোকিং শুধু মাত্র লাং ক্যান্সার নয়, অন্যান্য আরো ক্যান্সার তৈরি করে। যেহেতু স্মোকিং আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয় তাই স্মোকিং যে কোনো ক্যান্সার এর জন্যই ক্ষতিকর এবং সহজেই শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে।
আরো যে ক্যান্সার গুলি ধূমপানের জন্য হতে পরে সেগুলি হলো
প্রোস্টেট ক্যান্সার, এসোফ্যাগাস ক্যান্সার, ল্যারিংস, ট্রাকিয়া এবং ব্রঙ্কাস ক্যান্সার, মাউথ এবং থ্রোট ক্যান্সার, ব্লাড ক্যান্সার, লিভার ও প্যানক্রিয়াস ক্যান্সার, স্টোমাক ক্যান্সার, ব্লাডার ক্যান্সার এবং অন্যান্য।
শুধু মাত্র স্মোকিং নয়, টোবাকো দ্বারা তৈরী বিভিন্ন ধরনের চিবিয়ে খাওয়ার নেশার সামগ্রীও একই ভাবে ক্যান্সারের জন্য দায়ী।
ঝুঁকি কমাবেন কিভাবে?
১. ধূমপান ত্যাগ করুন
যদি আপনি এখনো অব্দি ক্যান্সারে আক্রান্ত হন নি, আপনার ঝুঁকি কমানোর সব থেকে প্রথম ধাপটি হলো ধূমপান ত্যাগ করা। ধূমপান বন্ধ করে দিলে আপনার শরীর আসতে আসতে আগের অবস্থায় ফিরে আসবে এবং আগামী ১০-২০ বছরের মধ্যে আপনার ক্যান্সারের ঝুঁকি একদমই কমে যাবে।
২.প্যাসিভ স্মোকিং এড়িয়ে চলুন
আপনি যদি কোনো ধূমপান কারী মানুষের সংস্পর্শে থাকেন এবং তারা ধূমপান করা কালীন সেই ধোঁয়া আপনার শরীরে যায়, সেটিও আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পাড়ে। তাই যথাসম্ভব প্যাসিভ স্মোকিং এড়িয়ে চলুন।
৩. সাস্থ্যকর খাবার খান এবং শরীরচর্চা করুন
নিজের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাস্থ্য কর খাবার খান। যথা সম্ভব প্রসেসড খাবার এড়িয়ে চলুন। প্রচুর পরিমাণে শাক সবজি, ফল, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যুক্ত খাবার, হোল গ্রেন, পোল্ট্রি, ডিম, মাছ ইত্যাদি খাবার খান যা আপনাকে ক্যান্সার থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়াও প্রতিদিন কিছুক্ষণ এর জন্য শরীরচর্চা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী এবং এটি আপনাকে ক্যান্সার এর প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
Written by
Rosalina D. William
Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation is enougn for today.
03 Comments
Adam Smit
20th May 2020Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit. Doloribus, omnis fugit corporis iste magnam ratione.
Adam Smit
21th May 2020Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit. Doloribus, omnis fugit corporis iste magnam ratione.
Adam Smit
25th May 2020Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit. Doloribus, omnis fugit corporis iste magnam ratione.