আমাদের প্রতিদিনের খাওয়াদাওয়া এবং লাইফস্টাইল আমাদের শরীরের ওপর প্রভাব ফেলে তা আমরা সকলেই জানি। কিন্তু ডায়েট এবং লাইফস্টাইলের সাথে ফ্যাটি লিভারের আদৌ কি কোনো সম্পর্ক আছে? চলুন জেনে নিই
*ফ্যাটি লিভার কি?
ফ্যাটি লিভার বর্তমানে খুব প্রচলিত একটি রোগ এবং অনেক মানুষ এই রোগটিতে ভুগছেন।এই রোগটিতে মানব দেহের লিভার অস্বাভাবিক ভাবে ফ্যাট জমাতে শুরু করে এবং লিভার আস্তে আস্তে নিজের কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। এর প্রধান কারণ গুলি হলো হেপাটাইটিস, কিছু মেডিসিন, অতিরিক্ত মদ্যপান এবং ওবেসিটি। ফ্যাটি লিভার রোগটিকে সাধারণত দুই ভাগে ভাগ করা হয়, নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার এবং অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার। এই দুটি রোগের ক্ষেত্রেই ডায়েটের ভূমিকা প্রচুর।
হার্ভার্ড মেডিকেল পাবলিশিং এর মতে ওষুধের সাথে সাথে সঠিক লাইফস্টাইল এবং খাওয়াদাওয়া ফ্যাটি লিভার কে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে পারে।
*কি কি খাবেন এবং খাবেন না
ফাস্ট ফুড একদম নয়
বর্তমান যুগে ফাস্ট ফুড প্রত্যেক মানুষের ডায়েটে জায়গা করে নিয়েছে কিন্তু তা কি আদৌ সাস্থ্য কর? ফাস্ট ফুডের মধ্য রয়েছে প্রচুর পরিমাণে স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং সুগার, যা বিশেষত নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার এর রোগী দের জন্য খুবই অস্বাস্থ্যকর। তাই আপনি যদি ফ্যাটি লিভারে ভুগছেন, এখনই ফাস্ট ফুড খাওয়া বন্ধ করুন
সফট ড্রিংকস বন্ধ করুন
সফট ড্রিংকস এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফ্রুক্টোজ এবং সুক্রোজ, যা লিভার এর জন্য খুবই ক্ষতিকর কারন এগুলি লিভারে ফ্যাট ডিপোজিট বৃদ্ধি করে। সফট ড্রিংকের বদলে নর্মাল জল খান বা ব্ল্যাক কফি খেতে পারেন মাঝে মাঝে। সফট ড্রিংক এর মতো আইসক্রিম, মিষ্টি এগুলিও লিভারের জন্য খুব ক্ষতিকর। তাই লিভারকে আগের পর্যায়ে ফিরিয়ে আনতে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এগুলি বর্জন করুন।
অ্যালকোহল ? একদম না
অ্যালকোহল এমন একটি ড্রিংক যা সরাসরি আপনার লিভারকে নষ্ট করে। এছাড়াও অ্যালকোহল আমাদের শরীরের হেলদি মাইক্রোবায়োম এর ব্যালান্সকে নষ্ট করে দেই। যে সমস্ত মানুষ ফ্যাটি লিভার রোগে ভুগছেন তাদের জন্য “সোসিয়াল ড্রিঙ্কিং” ও প্রাণঘাতী হতে পারে। তাই এটি একদম এড়িয়ে চলুন
হোল ফুড খান
বিজ্ঞাপনের চোটে এখন অনেক মানুষ রিফাইন খাবার খাওয়া শুরু করেছেন। কিন্তু রিফাইন খাবার বিজ্ঞাপনে যতই আকর্ষণীয় হোক না কেনো, ফ্যাটি লিভার কে আগের পর্যায়ে ফিরিয়ে আনতে গেলে আপনাকে হোল ফুডের ওপরেই নির্ভর করতে হবে। এটি শুধু মাত্র লিভার থেকে নয়, আপনার ওভারঅল শরীর থেকে ফ্যাট কমাতে সাহায্য করবে। তাই রিফাইন খাবার ডায়েট থেকে বাদ দিয়ে তার মধ্যে শাক সবজি, হোল গ্রেন ফুড, পোল্ট্রি ( রেড মিট নয়), ডিম, মাছ এগুলি খাওয়া শুরু করুন।
সাস্থ্য কর ফ্যাট খান
ফ্যাটি লিভার হলে মানুষ প্রথমেই ফ্যাট জাতীয় খাবার খাওয়া বন্ধ করে দেয়, যা একদমই ভুল। সাস্থ্য কর ফ্যাট আপনার শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজন। এটি শরীরে ভিটামিন (A, D, E, K) শোষণ করতে সাহায্য করে, আপনার নার্ভ এবং কোষ গুলিকে রক্ষা করে। এছাড়াও ফ্যাট জাতীয় খাবার অনেকক্ষণ আপনার পেট ভরা রাখে, যাতে আপনার অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার সম্ভাবনা বেশ কমে যায়। কিছু সাস্থ্য কর ফ্যাট এর উদাহরণ হলো অ্যাভোক্যাডো, অলিভ
Written by
Rosalina D. William
Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit, sed do eiusmod tempor incididunt ut labore et dolore magna aliqua. Ut enim ad minim veniam, quis nostrud exercitation is enougn for today.
03 Comments
Adam Smit
20th May 2020Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit. Doloribus, omnis fugit corporis iste magnam ratione.
Adam Smit
21th May 2020Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit. Doloribus, omnis fugit corporis iste magnam ratione.
Adam Smit
25th May 2020Lorem ipsum dolor sit amet, consectetur adipisicing elit. Doloribus, omnis fugit corporis iste magnam ratione.